Saturday, 1 December 2012

নেত্রকোণার বধ্যভূমি সংরক্ষনে উদ্যোগ না নেওয়ায়, মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ

নেত্রকোণার আলো ডেস্ক : স্বাধীনতার ৪১ বছর পেরিয়ে গেলেও নেত্রকোণার বধ্যভূমিগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত ও তা যথাযথ সংরন এবং সেসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের কোন কার্যকর পদপে গ্রহন না করায় জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে
মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ৭১ সালের যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে
বর্বর পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা এ দেশের মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী জনতাকে ধরে এনে জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গন হত্যা চালায় মুক্তিযোদ্ধারা দাবী করেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ১৭টি স্থানে মুক্তিপাগল জনতাকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করত পাক বাহিনীএসব নৃশংস গনহত্যার নীরব স্বাক্ষী বধ্যভূমি গুলো হচ্ছে জেলা শহরের মোক্তার পাড়া ব্রীজ, সাতপাই আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন মগড়া নদীর তীর, চল্লিশা রেল সেতু, পূর্বধলা উপজেলার ত্রিমোহনী, জারিয়া রেল স্টেশন কংশ নদীর তীর, রাজধলা বিল ও পুকুরিয়া কান্দা, কেন্দুয়া উপজেলার গোগবাজার, সেনের বাজার, ঘোড়াইল ও ধোপাগাতী, মদন উপজেলার থানাঘাট, দূর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি, গাওকান্দিয়া, বিজয়পুর, কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, মোক্তারপাড়া ব্রীজ ও সাতপাই আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে শহীদদের স্মরণে দুটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও বাকী ১৫টি বধ্যভূমি আজো চিহ্নিতকরণ করে তা সঠিকভাবে সংরন এবং সে সব স্থানে স্মৃতিসৌধ নির্মানের উদ্যোগ না নেয়ায় সকল স্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছেজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ নূরুল আমিন বলেন, বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে নিরলসবাবে কাজ করে যাচ্ছেনমুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে নিয়েছেন যুগান্তকারী পদক্ষেপসরকার বধ্যভূমিগুলো চিহ্ণিত করার নিদের্শ দিয়েছেনআমরা বধ্যভূমিগুলো চিহ্ণিত করনের কাজ করে যাচ্ছি

বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সংসদ সদস্য আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মুক্তিযোদ্ধের সরকার এ সরকারের আমলেই এসব বধ্যভূমি চিহ্নিত করে তা যথাযথ সংরন এবং স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন

প্রতিবেদন : সোহান আহম্মদ কাকন।